Breaking

যুক্তরাষ্ট্রের F-35 জেট বিমানে ক্ষয়ক্ষতি: কী ঘটেছিলো?

 

যুক্তরাষ্ট্রের F-35 জেট বিমানে ক্ষয়ক্ষতি: কী ঘটেছিলো?
যুক্তরাষ্ট্রের F-35 জেট বিমানে ক্ষয়ক্ষতি: কী ঘটেছিলো?


যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উন্নত এবং চতুর্থ প্রজন্মের ফাইটার জেট F-35 সম্প্রতি আবারও শিরোনামে এসেছে একটি ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার কারণে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান প্রজেক্ট হিসেবে পরিচিত এই F-35 প্রোগ্রাম বারবার বিভিন্ন কারণে আলোচিত হয়েছে – কখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি, আবার কখনও অপারেশনাল সীমাবদ্ধতার কারণে।


সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটেছে [স্থান/ঘটনার নির্দিষ্ট জায়গা, যেমন – Nevada, South Carolina ইত্যাদি যদি জানা থাকে], যেখানে একটি F-35 Lightning II মডেলের জেট প্রশিক্ষণ চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার বা ইঞ্জিন সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় পাইলট।


পাইলট সময়মতো ইজেক্ট (ejact) করতে সক্ষম হন এবং তিনি নিরাপদে আছেন। তবে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ধ্বংস হয় অথবা মেরামতের প্রয়োজন হয়।


F-35 হলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিনির্ভর এবং স্টেলথ ক্যাপাবল ফাইটার জেট। এটি একসাথে আকাশে যুদ্ধ, বোমাবর্ষণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে এর একক ইউনিটের দাম প্রায় ৮০ থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার কারণে প্রতিটি দুর্ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেটে বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হয়।


হ্যাঁ, এই প্রথম নয়। অতীতেও বেশ কয়েকবার F-35 এর সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে – যেমন:


২০২৩ সালে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় একটি F-35 হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে পড়ে।

২০২২ সালে একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারে অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে একটি F-35C।


এই সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে US Air Force / Navy। বিশেষজ্ঞরা বিমানের প্রযুক্তিগত দিক এবং মেইনটেন্যান্স রিপোর্ট বিশ্লেষণ করছেন যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যায়।


F-35 শুধু একটি যুদ্ধবিমান নয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতীক। তবে বারবার দুর্ঘটনার কারণে প্রশ্ন উঠছে এর টেকনিক্যাল নির্ভরযোগ্যতা ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও সতর্ক হতে হবে, বিশেষ করে এত ব্যয়বহুল একটি প্রজেক্টে বারবার ক্ষয়ক্ষতির মতো ঘটনা প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।



#