লাল সাগরে টালমাটাল! ভির্টসের জাদুতে মিলানের কাছে হারল লিভারপুল
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন! প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই ইউরোপীয় জায়ান্টের মুখোমুখি লড়াই সবসময়ই আলাদা উত্তেজনার। আর এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বায়ার্ন লেভারকুজেনের তারকা ফ্লোরিয়ান ভির্টসের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কাছে হার মানতে হলো লিভারপুলকে। এসি মিলান চেপে ধরল জয় । ম্যাচের নাটকীয় সব মুহূর্ত নিয়ে রইল বাংলায় পূর্ণাঙ্গ ব্লগ:
ম্যাচের হাইলাইটস ও স্কোরলাইন:
ম্যাচ: লিভারপুল বনাম এসি মিলান (প্রীতি ম্যাচ)
ফলাফল: লিভারপুল ২ - ৩ এসি মিলান
গোলদাতা (লিভারপুল): মোহাম্মদ সালাহ (২৯'), জারেল কোয়ানসাহ (৮৪')
গোলদাতা (মিলান):ফ্লোরিয়ান ভির্টস (৪২')ফিকায়ো টমোরি (৪৭'), লুকা রোমানো (৮৯')
কীভাবে উড়ে গেল ম্যাচ? মিনিটে মিনিটে অ্যাকশন:
1. শুরুতেই লাল ঝড়! সালাহর জাদু (২৯'): ডারউইন নুনিয়েসের চমৎকার কাজ শেষে সুযোগ পেয়েই নেট গুঁড়িয়ে দেন মিশরের রাজা সালাহ! ১-০ লিভারপুলের এগিয়ে থাকা।
2. ভির্টস এলেন, ভির্টস দেখালেন! (৪২'): জার্মানির উদীয়মান সুপারস্টার ফ্লোরিয়ান ভির্টস (লোনে বায়ার্ন লেভারকুজেন থেকে) সমতায় ফেরান! অসাধারণ মুভমেন্ট, নিখুঁত ফিনিশিং – গোলপোস্ট কাঁপিয়ে দিলেন! ১-১।
3. বিপত্তি! হাফটাইমের পরই ধাক্কা (৪৭'): দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই সেট-পিস থেকে ফিকায়ো টমোরির মাথায় বল জড়িয়ে যায় নেটে! হঠাৎ করেই পিছিয়ে পড়ল লিভারপুল (১-২)।
4. যুবরাজের আশা (৮৪'): তরুণ প্রতিভা জারেল কোয়ানসাহ সুন্দর ভলি করে আবার সমতায় ফেরান (২-২)! শেষ মুহূর্তের জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন কোপাইটস।
5. মিলানের শেষ হাসি! (৮৯'): কিন্তু হতাশা দীর্ঘস্থায়ী হলো না! লুকা রোমানোর ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে শেষ মুহূর্তে জয় পাকড়াও করল মিলান! ৩-২!
6. স্টার পারফরমার: ফ্লোরিয়ান ভির্টস
মিলানের আক্রমণের কেন্দ্রে ছিলেন এই ২১ বছর বয়সী জার্মান মিডফিল্ডার।
শুধু গোলই নয়, তার পাসিং, ড্রিবলিং, গেম রিডিং পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল অসাধারণ।
লিভারপুলের মিডফিল্ড ও ডিফেন্সকে বারবার সমস্যায় ফেলেছেন তিনি।
এই পারফরম্যান্স তাকে মিলানের নতুন সিজনের জন্য বড় অস্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করল।
লিভারপুলের জন্য চিন্তার কারণ?
ডিফেন্সিভ ভুল: বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর গোল এবং শেষ মুহূর্তের গোল ডিফেন্সিভ সংগঠন ও সতর্কতার ঘাটতি দেখাল।
কনসিসটেন্সির অভাব: সালাহর গোলের পর দলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। মাঝেমধ্যে মিডফিল্ডে চাপ সহ্য করতে হিমশিম খেয়েছে।
ইঞ্জুরির ছায়া: গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড় অনুপস্থিত ছিলেন, যা প্রভাব ফেলতে পারে।
মিলানের ইতিবাচক দিক:
আক্রমণে ধার: ভির্টসের নেতৃত্বে আক্রমণভাগ বেশ ফ্লুইড ও বিপজ্জনক দেখাল।
চরিত্রের জোর: প্রথম গোল খাওয়ার পর দমে না গিয়ে ফিরে আসা এবং শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়া।
নতুন মুখের প্রভাব: ভির্টসের মতো নতুন সংযোজন দ্রুত প্রভাব ফেলল।
সামগ্রিক মূল্যায়ন:
এটি ছিল প্রীতি ম্যাচ, আসল লক্ষ্য ফিটনেস ও কম্বিনেশন পরীক্ষা। তবুও, লিভারপুলের হার এবং বিশেষ করে ডিফেন্সে কিছু ভুল ক্লপের জন্য ভাবনার বিষয়। অন্যদিকে, ফ্লোরিয়ান ভির্টসের দারুণ অভিষেক মিলান সাপোর্টারদের আশাবাদী করবে। মিলান দেখাল তারা লড়াই করতে প্রস্তুত। লিভারপুলের এখন ঠিক করতে হবে ছোট ছোট ভুল, নতুন সিজনের জন্য।
#YNWA তে কি এবার জয় ফেরাবে লিভারপুল? নাকি মিলানের এই জয় তাদের আসল শক্তির ইঙ্গিত? নিচে কমেন্টে জানান আপনার মতামত!
