কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি: শূন্য আসনে পাঁচ গুণ প্রতিযোগিতা!
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এক অভিনব পদ্ধতি চালু হয়েছে! শূন্য আসনের বিপরীতে পাঁচ গুণ শিক্ষার্থী রেখে ফলাফল প্রকাশ করা হবে, যা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে তৈরি করেছে উত্তেজনা । চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত।
শূন্য আসনের বাস্তব চিত্র
মোট শূন্য আসন: ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টিতে মোট ১৯৩টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২টি আসন ফাঁকা ।
পাঁচ গুণ নিয়ম: শূন্য আসনের সংখ্যার পাঁচ গুণ শিক্ষার্থী (যেমন ১৯৩টি আসনের জন্য ৯৬৫ জন) অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত হবেন। এরপর তাদের মধ্যে থেকে মেধাক্রমে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন হবে ।
ভর্তি প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ
1. প্রাথমিক নির্বাচন (২৭–৩১ জুলাই):
অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শূন্য আসনের পাঁচ গুণ শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ।
নির্বাচিতরা ১০,০০০ টাকা (ভর্তি ফির প্রথম কিস্তি) অনলাইনে জমা দেবেন ।
2. চূড়ান্ত মেধাতালিকা (২ আগস্ট):
টাকা জমাদানকারীদের মধ্য থেকে মেধাভিত্তিতে শূন্য আসনের সমান সংখ্যক শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ।
ভর্তি না হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না ।
3. কাগজপত্র জমা:
ভর্তির সময় এসএসসি/এইচএসসির মূল সনদ, ৪টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং কোটা-সংক্রান্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে ।
শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
টাকা ফেরতের নিয়ম: যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি টাকা জমা পড়ে, তবে অতিরিক্ত জমাকারীর টাকা এসএসএল কমার্স এর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে ।
কোটা প্রমাণ: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রণালয়ের সনদ, আদিবাসী কোটায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ, প্রতিবন্ধী কোটায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সনদ জমা দিতে হবে ।
ভর্তি ফি: আনুমানিক ২৫,০০০ টাকা প্রয়োজন হতে পারে ।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
এই নতুন পদ্ধতির লক্ষ্য হলো দক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। পাঁচ গুণ শিক্ষার্থী রেখে ফলাফল দেওয়ার মাধ্যমে মেধাবীরা যাতে কোনওভাবে বাদ না পড়েন, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে । তবে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে:
সময়সীমা মেনে চলুন: ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা না দিলে সুযোগ হারাবেন।
কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন: ভুল তথ্য বা অসম্পূর্ণ কাগজপত্র ভর্তি বাতিলের কারণ হতে পারে ।
উপসংহার
কৃষি গুচ্ছের এই শূন্য আসন পূরণের প্রক্রিয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। পাঁচ গুণ প্রতিযোগিতার এই মডেল যদি সফল হয়, তা ভবিষ্যতে অন্যান্য গুচ্ছভিত্তিক ভর্তিতেও প্রয়োগ হতে পারে। তাই নির্দেশিকা মেনে দ্রুত প্রস্তুতি নিন, এবং ২ আগস্টের চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায় থাকুন!
এক নজরে:
শূন্য আসন পূরণের সময়সীমা: ২৭–৩১ জুলাই ২০২৫
চূড়ান্ত ফলাফল: ২ আগস্ট ২০২৫
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: [acas.edu.bd](https://acas.edu.bd)
শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা! আপনার মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে শেয়ার করুন।
