সাকিব আল হাসান – বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র
![]() |
| Image credit by Gettyimages |
পরিচিতি:
সাকিব আল হাসান (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭, মাগুরা, বাংলাদেশ) হলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে একাধিকবার তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। তার অসাধারণ ব্যাটিং, বোলিং এবং নেতৃত্বগুণে তিনি বিশ্বজুড়ে সম্মানিত।
শৈশব ও শুরু:
সাকিবের জন্ম মাগুরা জেলার এক সাধারণ পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। স্কুল জীবনেই তার ক্রিকেট প্রতিভার ঝলক দেখা যায়। পরে বিকেএসপিতে ভর্তি হয়ে পেশাদার ক্রিকেটের দিকে যাত্রা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক অভিষেক:
ওয়ানডে অভিষেক: ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে
টেস্ট অভিষেক: ২০০৭ সালে ভারত সফরে
টি-টোয়েন্টি অভিষেক: ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে
তিনি খুব দ্রুত জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন, এবং অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন।
ক্যারিয়ার হাইলাইটস:
একমাত্র ক্রিকেটার যিনি বিশ্বকাপ (২০১৯)–এ ৬০০+ রান ও ১০+ উইকেট নিয়েছেন।
২০২১ সালেও ICC র্যাঙ্কিংয়ে সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে স্থান পান।
আইপিএল, বিপিএল, সিপিএলসহ নানা লিগে খেলে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি:
বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় সাকিব বরাবরই শীর্ষে থেকেছেন। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, ঠান্ডা মাথার ব্যাটিং এবং খেলার প্রতি নিবেদন তাকে আলাদা করে চেনায়।
ক্রিকেটের বাইরেও:
সাকিব একজন শিক্ষিত ক্রিকেটার। তিনি অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী হিসেবেও পরিচিত।
"Monarch Mart" সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
সাকিব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শিশিরের সঙ্গে ২০১২ সালে। তাদের ঘরে রয়েছে এক কন্যা ও এক পুত্র।
সম্মাননা:
আইসিসি বর্ষসেরা অলরাউন্ডার (একাধিকবার)
বিশ্বকাপ একাদশে স্থান পাওয়া
দেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জাতীয় সম্মাননা
উপসংহার:
সাকিব আল হাসান কেবল একজন ক্রিকেটার নন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি। তার পারফরম্যান্স, পরিশ্রম ও প্যাশন দেশের নতুন প্রজন্মকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করছে। আগামী দিনে তার নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা
