পাকিস্তান—লজ্জার লালাংকৃত মুখ ঢাকতে পারবে না?
![]() |
| Gattyimage |
বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের প্রথম দুইটি টি২০ ম্যাচে ছিল চরম বিপর্যয়—২০শে ও ২২শে জুলাই খেলার শুরুতে তারা ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে। শেষ ম্যাচে (২৪শে জুলাই) তাদের একমাত্র সম্ভাবনা ছিল সিরিজ হোয়াশ (৩–০) হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচানো।
কেমন দেখাচ্ছে পরিস্থিতি?
টাইমিং ও সময়সূচী
সফরের তৃতীয় টি২০ ম্যাচ ২৪ জুলাই ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ।
আগের দুই ম্যাচের ফলাফল
২০ জুলাই: পাকিস্তান অলআউট ১১০—নিম্নতম টি২০ স্কোর তাদের, বাংলাদেশ জিতে ৭ উইকেট ।
২২ জুলাই: বাংলাদেশ ১৩৩/৬, পাকিস্তান ১২৫, পেরোলো ৮ রানে; সিরিজ জয় নিশ্চিত ।
মূল সমস্যা কী?
1. ব্যাটিং ভেঙে গিয়েই গেছে
পাওয়ার প্লেতে ৫ উইকেট ১৫ রানে হারিয়ে ফেলেন—এমন দুর্দশা দ্বিতীয় ম্যাচে আবার দেখা যায় ।
2. বোলিংয়ে শক্তির অভাব
জাতীয় বোলাররা টিকতে পারেনি, যেখানে Taskin–Mustafizur–রা ভালো পারফর্ম করেছে ।
3. মানসিক ফাঁদে ধরা
বাড়তি চাপ, অভিজ্ঞতার অভাব ও পরিকল্পনার ঘাটত সব মিলিয়ে পাকিস্তান যেন নিজেই হাল ছেড়ে দিচ্ছে।
উত্তরণের পথ
ব্যাটিং স্ট্যাবিলাইজেশন
ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের প্রতিটি বল গুরুত্বের সাথে খেলা প্রয়োজন; দারিত্বে মনোযোগ বড়ো স্কোর গড়তে।
বোলিংয়ে ভারসাম্য
তরুণদের (যেমন–নাসির শাহ) সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি স্পিনারদের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।
মানসিক দৃঢ়তা
মেন্টাল কোচিং, দলগত ব্যালান্স এবং নেতৃত্বের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা জরুরি।
ট্যাকটিক্যাল প্ল্যানিং
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না হলে সাময়িক জয় আসলে মানে হয় না PCB কে স্থিতিশীল শিবির গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ এই সিরিজে জয়ী হয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান এখন জীবনের শেষ সুযোগে দাঁড়িয়ে সিরিজ হোয়াশ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে। সাম্প্রতি সিরিজে গড়া ধারার ধ্বংস করতে, তাদের বড়ো খেলোয়াড়দের দায়িত্ববোধ, পরিকল্পিত খেলা ও মানসিক দৃঢ়তা আবশ্যক।
সারসংক্ষেপে: শুধুমাত্র পূর্ণ দলগত মনোযোগ ও বাস্তবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে পাকিস্তান বাঁচতে পারবে লজ্জার মরিয়া হাত থেকে।
চলুন দেখে নেই, ২৪ জুলাই তারা গ্লানি থেকে মুক্তি পায় কি না!
