ঢাকা ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে, সম্পদমূল্যে সামান্য বৃদ্ধি
![]() |
| Ai generated image |
ব্যাংকটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ওই প্রান্তিকে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে ২৫ পয়সা।
গত বছরের একই সময়ে ওই আয় ছিল ৫৭ পয়সা।
এছাড়া, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল ১ টকা ৮৮ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAVPS) হয়েছে ২২ টাকা ৯৬ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ২২ টাকা ৫৯ পয়সা।
এই ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে:
আয় (ইপিএস) উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে — প্রায় অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
যদিও সম্পদমূল্যে (NAVPS) সামান্য বৃদ্ধি ঘটেছে, তথাপি আয় শতকরা হারে কম হওয়া ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যক্রম বা ঝুঁকি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, এই হ্রাসের পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে ঋণ / অগ্রিম বিতরণের ক্ষেত্রে প্রভিশন সংরক্ষণের হারের বৃদ্ধি।
অর্থাৎ, ব্যাংক খাতের পরিবেশ—বিশেষ করে ঋণের নান্দনিকতা ও ঝুঁকি—বর্তমানে চ্যালেঞ্জিং।
শেয়ারবাজারে এই রূপে আয় কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংক খাতে সম্প্রতি নানা ধরণের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে — খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি, সুদের চাপ, যথাযথ দায়–দায়িত্ব ও নিয়ন্ত্রণের অভাব। এই প্রেক্ষাপটে, একটি ব্যাংক যেমন ঢাকা ব্যাংক তার ফলাফল দ্বারা বাজারে আস্থা ধরে রাখার দিক থেকে গুরুত্ব বহন করে।
আগামী সময় ব্যাংককে প্রয়োজন হবে কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ঋণ অভিজ্ঞতা ও আমানত প্রবাহ সুদৃঢ় করার দিকে মনযোগ দিতে।
ঢাকা ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট যে — বর্তমানে আয় সংকুচিত হলেও সম্পদভিত্তিক অবস্থান তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আয় বৃদ্ধির জন্য ব্যাংককে দ্রুত সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। আর বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে এখনই সময় তথ্যভিত্তিক ভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে।
