শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়ার নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ২১ অক্টোবর ২০২৫ — দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা বিষয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত প্রকাশ হয়েছে।
প্রথমে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে এই শ্রেণির জন্য মাসিক বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয় — অর্থাৎ বর্তমানভেলা বাড়িভাড়া মিলিয়ে ১ ৫০০ টাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা এটি আপাতভাবে গ্রহণ করেনি এবং আন্দোলন চালিয়ে যায়।
নতুন বৃদ্ধির বিবরণ
সরকার একরাতে সিদ্ধান্ত নেয়, বাড়িভাড়া হবে মূল বেতনের ১৫ % (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা)।
এই বৃদ্ধি হবে দুই ধাপে: প্রথম ধাপ হবে নভেম্বর ১ তারিখ থেকে, যেখানে কার্যকর হবে সাড়ে ৭ % বাড়িভাড়া।
দ্বিতীয় ধাপ নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে, তখন পুরো ১৫ % বাড়িভাড়া কার্যকর হবে।
কতটা বাড়িভাড়া পেতে পারেন?
যাঁরা মধ্যম স্তরের বেতনে আছেন — যেমন সহকারী শিক্ষক যারা শুরুতে প্রায় ১২,৫০০ টাকার আদলে বেতন পান — তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফুটে উঠছে এমন:
নভেম্বর থেকে সাড়ে ৭ % অনুযায়ী বাড়িভাড়া হবে প্রায় ৯৩৭ টাকা। কিন্তু ন্যূনতম নিয়মে তাঁরা পাবেন ২ হাজার টাকা।
২০২৬ সালের জুলাই থেকে ১৫ % অনুযায়ী বাড়িভাড়া দলিল অনুসারে প্রায় ১ ৮৭৫ টাকা হবে — কিন্তু ন্যূনতম নিয়ম ওভাবে অনুসরণ করে ২ হাজার টাকা নিশ্চিত।
উচ্চ বেতনের ক্ষেত্রে যেমন ১৬ হাজার টাকার রেঞ্জে বেতন হলে নভেম্বর মাসে সাড়ে ৭ % অনুযায়ী বাড়িভাড়া প্রায় ১ ২০০ টাকা হলেও ন্যূনতম ২ হাজার টাকা, আর জুলাই থেকে হয় প্রায় ২ ৪০০ টাকা।
প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয় খরচ
বর্তমানে দেশের প্রায় ছয় লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এই এমপিওভুক্ত শ্রেণিতে রয়েছেন — মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রায় পৌনে ২ লাখ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে আরো কয়েক হাজার।
গত এক অনুরোধনায় দেখা গেছে, বাড়িভাড়া যদি মূল বেতনের ২০ % দেওয়া হয় তাহলে বছরে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে; ১৫ % হলে তা প্রায় ২ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা হবে।
আন্দোলন ও উত্তরণ
শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়েছিল — মূল বেতনের ২০ % হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা বৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মতো বিষয়।
সরকার বাড়িভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শিক্ষা ও কর্মচারী ইউনিয়নগুলো আ
ন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
