সংক্ষেপে: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০২৫ বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি এক সপ্তাহ পিছিয়ে—এবার পরীক্ষা হবে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা)। আগের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হওয়ার তারিখ ছিল ২১ ডিসেম্বর। সংশোধিত রুটিন মাউশির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
ঘটনাবলি ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
মাউশি ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নির্বাহী কমিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সময়সূচির এই পরিবর্তন জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে — নতুন রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বর এবং শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। আগের ঘোষিত সূচি ছিল ২১-২৪ ডিসেম্বর। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি ও সংবাদসংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো একাধিক প্রধান সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে।
নতুন সময়সূচি (সংক্ষিপ্ত)
২৮ ডিসেম্বর: বাংলা — সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা।
২৯ ডিসেম্বর: ইংরেজি — সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা।
৩০ ডিসেম্বর: গণিত — সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা।
৩১ ডিসেম্বর: বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (সমন্বিত) — সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা।
(প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা ৩ ঘন্টা; বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট পাবে বলে নির্দেশ রয়েছে)।
পরীক্ষার কাঠামো ও নম্বর বিভাজন
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা মোট ৪টি বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং মোট নম্বর ৪০০। সাধারণভাবে পৃথক বিষয়ের নম্বর/বন্টন ও নীতিমালার বিস্তারিত সংশোধিত দিকগুলো মাউশি/বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত আছে — পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ—দুই ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হবে। পরীক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সংস্থাগত কোটা/শর্তাবলীও নির্ধারিত আছে।
কারণে কি—কোন অফিসিয়াল ব্যাখ্যা আছে কি?
প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশনায় সরাসরি বিস্তৃত কারণ উল্লেখ করা হয়নি—বৃহত্তরভাবে বলা হয়েছে সংশোধিত সময়সূচি মাউশি কর্তৃক প্রকাশ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা (মহাপরিচালক/পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক) সই করেছেন। অতএব, যদি কোনো বিশেষ কারণ (যেমন: লজিস্টিক, প্রশাসনিক সমন্বয়, বা অন্য কোনো প্রতিকূলতা) জানতে চান, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উত্স হবে মাউশির বিজ্ঞপ্তি বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল নোটিশ। সংবাদ প্রতিবেদনে সরাসরি কোনো বিশদ কারণ না থাকায় আমরা এটিই উল্লেখ করছি।
পরীক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা (তাত্ক্ষণিক ও ব্যবহারিক)
নিচের চেকলিস্টটি দ্রুত কাজে লাগবে — বিশেষ করে যাঁদের পরীক্ষা টেনে পেছিয়েছে, তারা এই সময়টি মাথা গরম না করে কৌশলে কাজে লাগান:
1. অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ: প্রবেশপত্র আপনার বিদ্যালয় প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরোর কমপক্ষে ৭ দিন আগে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে — নিয়ম ঠিক আছে কী তা স্কুল থেকে নিশ্চিত করুন।
2. রুটিন নিশ্চিত করুন: সংশোধিত রুটিন পাওয়া গেলে স্থানীয় বোর্ড/বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি একবার নিশ্চিত করুন (PDF/বিজ্ঞপ্তি সংরক্ষণ করুন)।
3. পড়াশোনার পুনরায় পরিকল্পনা: এক সপ্তাহ_extra_ পাওয়াটা ভালোভাবে কাজে লাগান — দুর্বল অংশগুলো চিহ্নিত করে টপিক-ওরিয়েন্টেড রিভিশন প্ল্যান বানান (দৈনিক লক্ষ্য, মক টেস্ট, টাইমিং অনুশীলন)।
4. সময় ব্যবস্থাপনা অনুশীলন: প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৩ ঘণ্টা পরীক্ষার অনুশীলন করুন — বিশেষ করে গণিত ও কয়দা টাইমিং ম্যানেজমেন্টের জন্য।
5. সফলতার জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন: পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার ও হালকা ব্যায়াম রাখুন—মন-মেজাজ ভালো থাকলে প্রস্তুতি ফলপ্রসূ হয়।
6. পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুমোদিত উপকরণ: শুধুমাত্র অনুমোদিত ক্যালকুলেটর (যদি মঞ্চে অনুমোদিত থাকে), পেন, কলম, রবার, স্কেল ইত্যাদি নিন; মোবাইল বা অন্য ইলেকট্রনিক্স নিষিদ্ধ। মাউশির নির্দেশাবলী অনুযায়ী চলুন।
অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের করণীয়
স্কুল প্রধানগণ লাইভ/অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে দ্রুতভাবে পৌঁছে দিন।
প্রবেশপত্র বিতরণ ও পরীক্ষার দিন উপস্থিতি-লজিস্টিক ঠিক রাখুন।
মানসিক চাপ কমাতে অভিভাবকগণ সহযোগিতা করুন — অনুশাসন, চাপ নয়।
অনলাইন/অফলাইন টিউশন/কোচিং যাদের আছে, পুনর্গঠন করে প্রয়োজনীয় শ্রেণিতে ফোকাস করান (নেগেটিভ কনসিকুয়েন্স এড়াতে)।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
প্রশ্ন: ফল প্রকাশ কখন হবে?
উত্তর: পূর্বের নোটিশ অনুযায়ী সম্ভাব্য ফল প্রকাশের একটি তারিখ ছিল (বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বে উল্লেখিত), কিন্তু সংশোধিতই রুটিনে ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট তারিখ আলাদা করে উল্লেখ করা না থাকায় অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি বা মাউশির পরবর্তী ঘোষণা দেখুন।
প্রশ্ন: পেছানো ঠিক আছে কি না — শিক্ষার্থীদের জন্য কতোটা সুবিধা/অসুবিধা?
উত্তর: সময় পেছানো মানে প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত সময় — এটি অনেক পরীক্ষার্থীর জন্য সুবিধা হলেও টিমিং সেট করে পড়া-মোটিভেশন রাখার ক্ষেত্রে কিছুরকম অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। অভিভাবক ও শিক্ষকরা ঠিকভাবে মেন্টরিং দিলে এটি ইতিবাচক রূপ নেবে। (সাধারণ পরামর্শ)
মোটকথা, ২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচি এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে—এখন পরীক্ষা হবে ২৮-৩১ ডিসেম্বর ২০২৫। যেসব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে রেখেছেন, তারা এখনই অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রবেশপত্র ও নির্দেশিকা নিশ্চিত করুন এবং বাকি সময়টুকু সুশৃঙ্খলভাবে কাজে লাগান। প্রয়োজন হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল হেল্পলাইন/ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন।

