![]() |
| ছবি: সংগৃহীত |
বৃত্তির নামে সাতক্ষীরায় কোচিং সেন্টারের বাণিজ্য, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃত্তির নাম করে শিক্ষার্থীদের শোষণ। বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এখন বৃত্তি পরীক্ষাকে টার্গেট করে গড়ে তুলেছে একটি লাভজনক বাণিজ্য। অভিভাবকদের স্বপ্ন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ—সবকিছুই আজ ব্যবসার পণ্যে পরিণত হয়েছে।
বৃত্তির নামে প্রতারণা
বেশিরভাগ কোচিং সেন্টার “বৃত্তি নিশ্চিত” কিংবা “১০০% সুযোগ” এসব লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করছে। পরীক্ষার নামে তারা আদায় করছে অতিরিক্ত ফি—যা সাধারণ পরিবারের জন্য অনেক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
✅ বৃত্তির পরীক্ষার জন্য ৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত ফি
✅ মেধা যাচাই পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত কোচিং চাপ
✅ পরীক্ষার ফলাফলে লুকোছাপা বা ভুয়া তালিকা
ফলে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরাও প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
শিক্ষার উদ্দেশ্য নাকি বাণিজ্য?
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান বিতরণ ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। কিন্তু কিছু কোচিং সেন্টার লাভের উদ্দেশ্যে শিশুদের স্বপ্নকে ব্যবহার করছে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে।
যেখানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দক্ষতা বৃদ্ধি
সেখানে চলছে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা ও স্বার্থের লড়াই
অভিভাবকদের ক্ষোভ
সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা জানান—কোচিং না করালে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে দেবে না, এটাই এখনকার বাস্তব চিত্র।”
শুধু তাই নয়, অনেকেই জানান পরীক্ষার ফল ভুয়া তালিকা দিয়ে “বৃত্তি পাওয়া” দাবি করা হয়, আর তারপর পরিবারগুলোকে আরও ব্যয়বহুল কোর্সে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।
প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন
শিক্ষার নামে এই প্রতারণা বন্ধ করতে শিক্ষা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর ভূমিকা জরুরি।
প্রস্তাবনা:
✅ কোচিং সেন্টার কার্যক্রম মনিটরিং
✅ বৃত্তি পরীক্ষার লাইসেন্স বাধ্যতামূলক
✅ ফি নির্ধারণে মানদণ্ড প্রণয়ন
✅ প্রতারণা প্রমাণে দ্রুত ব্যবস্থা
শিক্ষা কোনো পণ্য নয় — এটি প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। বৃত্তির নামে বাণিজ্য বন্ধ করে প্রকৃত শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে প্রশাসন ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।
🛑 শিক্ষার্থীর স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসা নয়
✅ শিক্ষা হোক মুক্ত, সবার জন্য সমান
