প্রতি বছর HSC / সমমান পরীক্ষার মূল ফলাফল প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর, পুনঃনিরীক্ষণ (বা খাতা চ্যালেঞ্জ) আবেদনের পর ফল প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের ক্ষেত্রে ফল প্রকাশের পর “দু’বিভাগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে …” বলেছে সংবাদ।
২০২৫ সালের জন্যও অনলাইন উৎসগুলো বলছে যে আবেদন শেষ হওয়ার পর ২–৩ সপ্তাহের মধ্যে ফল জানা যাবে।
অর্থাৎ, সকালের দিকে বা দুপুরের দিকে ফল পাওয়া যেতে পারে—আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
১. কিভাবে দেখবেন — SMS পদ্ধতি
পুনঃনিরীক্ষণের ফল SMS এর মাধ্যমে জানার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:
যদিও মূল ফলাফল SMS থেকে জানা যেতো, পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক বোর্ডে SMS করা লাগছে না — বরং আবেদন করার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বরে বোর্ড থেকে সরাসরি SMS পাঠানো হবে।
পুরনো নিয়ম অনুসারে (যেখানেই এখন হয়তো কম ব্যবহার হচ্ছে) SMS করার নিয়ম ছিল:
RSC <Space> বোর্ডের তিন-অক্ষে/কোড <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড
এরপর PIN এড়িয়ে আবার SMS দেওয়া লাগতো।
আজকের নিয়মে আপনি মূলত একটি সচল মোবাইল নম্বর বিবৃতি দেন, ফল প্রকাশের সময় সেই নম্বরে SMS আসবে।
টিপস: আপনার মোবাইল নম্বর ঠিক মতো দিয়েছেন কিনা দেখুন, সিম সক্রিয় রয়েছে কিনা দেখুন, ফল প্রকাশের সময় মোবাইলে সিগন্যাল ভালো থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
২. কিভাবে দেখবেন — অনলাইন পদ্ধতি
অনলাইন পদ্ধতিতে পুনঃনিরীক্ষণের ফল দেখার ধাপগুলো নিচে দেয়া হলো:
1. প্রথমে নির্ধারিত ওয়েব সাইটে যান:
https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd/ — এই পোর্টালটি বিভিন্ন বোর্ডের পুনঃনিরীক্ষণ ফলাফল দেখার জন্য ব্যবহৃত।
2. ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, এবং আপনার বোর্ড নির্বাচন করুন।
3. সাবমিট করে আপনার তথ্য যাচাই হলে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয় (যে নম্বর দিয়েছিলেন আবেদনকালে) — ফল প্রকাশিত হলে সেখানে SMS দেওয়া হবে বা অনলাইনে দেখানো হবে।
4. ফল প্রকাশিত হলে ওয়েব পোর্টালে আপনার বিষয়ভিত্তিক পুনঃনিরীক্ষণ-ফল দেখা যাবে — অর্থাৎ কোন বিষয়কে আবেদন করেছিলেন, তার ফলাফল কি হয়েছে (নম্বর বাড়েছে/না বাড়েছে)।
5. ফলাফল দেখে যদি নম্বর বাড়ে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড বা কলেজ থেকে সংশোধিত মার্কশিট সংগ্রহের প্রয়োজন হতে পারে।
৪. কতজন আবেদন করেছে
এই বছরের (২০২৫) জন্য পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদনকারী সংখ্যা নিয়ে পাওয়া তথ্য হলো:
“Over 2.26 lakh (২ লক্ষ ২৬ হাজার) শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন” বলেছে একটি উৎস।
একই তথ্য অনুযায়ী, “৪.২৮ লক্ষ (৪২৮ হাজার) টিরও বেশি খাতা (answer scripts) চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে”।
এছাড়া, মূল HSC পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ও পাসের তথ্য রয়েছে: উদাহরণস্বরূপ, ১২,৩৫,৬৬১ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন; পাস হয়েছেন ৭,২৬,৯৬০ জন — পাস হার ছিল ৫৮.৮৩ %।
সারাংশ: যথেষ্ট বড় পরিসরে শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ নিয়েছেন — যদি আপনি আবেদন করে থাকেন, আপনি একনায় দাঁড়াচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
৫. পুনঃনিরীক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও টিপস
শুধুমাত্র আপনার মনে হয় নম্বর কম হয়েছে বা কোনো প্রশ্ন হয়তো চেক হয়নি, তাহলে আবেদন করুন; নতুন লেখা নয়, শুধুই চেক হয়: নম্বর ভুল দেওয়া হয়েছে কি না, ঢুকেনি কি না, মাউলিং বা টোটালিংয়ের ভুল আছে কি না।
প্রতি পত্রের জন্য নির্ধারিত ফি রয়েছে — উদাহরণস্বরূপ ২০২৫ সালের ক্ষেত্রে প্রতি পত্র প্রায় ১৫০ টাকা।
ফি পরিশোধের পর আবেদন বাতিল করা যাবে না এবং ফি ফেরত পাওয়া যাবে না — তাই সাবধানে বিষয় নির্বাচন করুন।
আবেদন সময়সীমা মেনে চলুন — সাধারণত ফল প্রকাশের পর কিছুদিনের মধ্যে আবেদন শুরু হয় ও শেষ হয়। দেরিতে করলে সুযোগ মিস হতে পারে।
অনলাইন করার সময় ইন্টারনেট ভালো থাকতে হবে, রোল / রেজ / বোর্ড সঠিকভাবে বসাতে হবে। মোবাইলে নম্বর ঠিক আছে কি না দেখুন — কারণ SMS আসতে পারে।
ফল প্রকাশের সময় ও তার আগে একটু ধৈর্য ধরুন — কিছুক্ষণ ওয়েবসাইট ব্যস্ত থাকতে পারে (সার্ভার লোড বাড়তে পারে)।
আপনার HSC পরীক্ষার ফল যদি প্রত্যাশামতো না হয়, ভয় নেই — প্রতি বছর অনেক শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের (খাতা চ্যালেঞ্জ) সুযোগ নিচ্ছেন। পুরো প্রক্রিয়াটি এখন বড় অংশে অনলাইনে করা হয় এবং ফলও SMS/ওয়েব মাধ্যমে দেওয়া হয়। আপনি ঠিক নিয়মে আবেদন করে থাকলে, একটা নতুন সুযোগ পাচ্ছেন আপনার নম্বর সংশোধনের জন্য। ফলাফল পাবেন বিশ্লেষিতভাবে: কখন পাওয়া যাবে, কিভাবে দেখবেন (SMS & অনলাইন), এবং কতজন আবেদন করেছে—সবই উপরের ধাপে ধাপে লেখা আছে। এখন শুধু অপেক্ষা করুন এবং কাল সকালের দিকে বা সময় অনুযায়ী ওয়েবসাইট চেক করুন।
